On This Page

সমাস

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - পালি - NCTB BOOK

সমাস

নামানং সমানো যুক্তথো

দুই বা ততোধিক নামের একপদীকরণকে সমাস বলে। সমাস ছয় প্রকার। যথা- ্য, কৰ্ম্মধারয, দিপু, উপপুরিসো, বহুঝীহি এবং অরুরীভাব।

দ্বন্দ্ব সমাস

নামানং সমুচ্চযো দ্বন্ধো

একই বিভক্তি যুক্ত দুই বা ততোধিক পদের যে সমাস হয় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। এ সমাসে প্রত্যেক পদের অর্থ প্রধান থাকে। দ্বন্দ্ব সমাসকে ব্যাসবাক্যে পরিণত করার সময় প্রত্যেক পদের শেষে 'চ' অব্যয়পদ যোগ

করতে হয়। দ্বন্দ্ব সমাস দু প্রকার। ইতরেতর দ্বন্দ্ব ও সমাহার দ্বন্দ্ব। ইতরেতর বন্য : এখানে সমাসবদ্ধ শব্দটি বহুবচনান্ত হয় এবং শেষ পদ অনুযায়ী লিঙ্গ ও বিভক্তি প্রাপ্ত হয়।

যথা সমণো চ ব্রাহ্মণ চ = সমাব্রাহ্মণা

চন্দিমো চ সুরিখো চ = চন্দিমসুরিয়া।

সমাহার দ্বন্দ্ব শেষের পদ যে লিঙ্গের হোক না কেন সমাসবদ্ধ হয়ে শব্দটি যদি নপুংসক লিঙ্গও একবচন হয় তখন তাকে সমাহার দ্বন্দ্ব বলে। যথা-

জরা চ মরণং চ = জরামরণং, হথি চ অসূসা চ = হथিসং।

১। তথা দ্বন্দ্ব পানি তুরিষযোগগো সেনংগ খুদ্ধকজন্তুক বিবিধ বিরুদ্ধ বিভাগ অথাধি নয়। প্রাণিবাচক- হজ্ব চ পাদা চ = হচ্ছ পাদং,

প্রাণীর তুর্য, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিরুদ্ধ ভাব বিশিষ্ট পরস্পর বিরোধী গুণবাচক শব্দের নিত্য সমাহার দ্বন্দ্ব হয়। যথা-

তুর্যবাচক-গীতং চ বাদিতং চ = গীতবাদিতং,

ক্ষুদ্রপ্রাণিবাচক ডংসং চ মসকং চ = ডৎসমসকং,

বিরুদ্ধ স্বভাব বিশিষ্ট-অহি চ নকুরো চ = = অহিনকুলং,পরপর বিরোধী গুণ-কুসলং চ অনুসলং চ = সুসলাকুসং অসিচম্মং।

সেনাবাহিনীর অংশবিশেষ-অসি চ চম্মং চ =

২। রুদ্ধ, তীণ, পঙ্গু, ধন, ধঞাদিন।

বৃক্ষ, তৃণ, পশু, বন, ধান্যবাচক শব্দের সমাহার দ্বন্দ্ব হয়। যথা- বৃক্ষবাচক = তালং চ তমালং চ = তালতমালং

তৃণবাচক = কুসো চ দুব্বা চ = কুসং

পশু বাচক = আজো চ এলকো চ = অজেলক

ধনাবাচক = মনি চ মুত্তা চ = মনিমুত্তং

ধান্যবাচক = সালি চ যবং চ = সালিযবং

কৰ্ম্মধারয় সমাস

দ্বিপদে তুল্যাধিকরণে কৰ্ম্মধারয়।

বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে যে সমাস হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। কর্মধারয় সমাসে বিশেষণ পদ সাধারণত

আগে বসে। যথা-

মহস্তা নদী = মহানদী।

কম্মধারয় সমাস নয় প্রকার। যথা- ১) বিসেন পুরুপদ কমধারয় ২ বিসেন পরপদ কধার, ৩. বিসেসন উভয়পদ উভয়ধার ৪. উপমান উত্তর পদ কধার ৫ সম্ভাবনা পুষ্পদ কমধারয়, ৬. অবধারক পুষ্পদ কস্মধারয়, ৭. ন-নিপাত পুরুপদ কৰ্ম্মধার, ৮. কু-নিপাত পুবপদ কৰ্ম্মধার, ৯. প আদি পূপদ কম্মধার।

বিসেসন পুপদ কৰ্ম্মধারয। বিশেষণ পদ পূর্বে পসে। যথা- মহেস্তা বীরো = মহাবীরো, নীলং উপপলং

= নীলোপলং। ২। বিসেণনপরপদ কমধার এখানে বিশেষণ পদ পরে বসে। যথা- নরো সেইঠো নরোনেঠো

=

সারিপুত্তো থেরো = সারিপুত্তথেরো। ৩। বিসেন উভযপদ কম্মধার। পূর্বপদ এবং পরপর উভয় পদই বিশেষণ হয়।

অস্থো চ বধিরো = অন্ধবধিরো, ছিং চ ভিন্নং চ = ছিন্নভিন্নং।

৪। উপমান উত্তরপদ কম্মধারয়। এ সমাসে পূর্বপদের সাথে উত্তরপদের উপমা বা তুলনা করা হয়। যথা-সীহবিষ নরো = নরসীহো, সাগার বিঘ্ন বিনযো = বিনয়সাগরো।৫। সম্ভাবনা পুপদ কৰ্ম্মধারয় অর্থাৎ পূর্বপদ পরপদের সম্ভাবনা বা পূর্বপদের সাথে পরপদের সম্পর্ক ব্যক্ত হয়ে পরিস্কারভাবে অর্থ বুঝানোর জন্য দুই পদের মধ্যে ইতি, জুতা, সংখাতো ইত্যাদি শব্দগুলো

ব্যবহৃত হয়। যথা- অনিচ্চ ইতি সঞ্ঞা = অনিচ্চসজ্ঞঞা, হেতু হুড়া পঞ্চযো = হেতুপচ্চযো।

অবধারণ পূপদকম্মধারয় অর্থাৎ পূর্বপদের অর্থই প্রাধান্য পেয়ে থাকে। যথা-

অবিজ্জা এবং মলং = অবিজ্ঞামলং, গুণ এবং ধনং= পুনধনং।

ন-নিপাত পুপদ কৰ্ম্মধারয়। এ সমাসে ন এ নিপাত পূর্বপদ হয়। স্বরবর্ণ পরে থাকলে 'ন' স্থানে "অন" এবং বাঞ্চনবর্ণ পরে থাকলে 'ন' স্থানে 'অ' হয়। যা-

ন অরিয়ো = অনরিয়ো, ন কুসলো = অকুসলো।

৮। কু-নিপাত পূষ্ণপদ কম্মধারয়। এ সমাসে 'কু' এ নিপাত সব সময় পূর্বপদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিবরণ

পরে থাকলে 'কৃ' এর স্থানে "কদ হয় এবং ব্যাঞ্জনবর্ণ পরে থাকলে 'কু' এর স্থলে মাঝে মাঝে ‘কা’

হয়। যথা- কু + আচারো = কদাচারো, কু + পুরিসো = কাপুরিসো।

প-আদি পুবপদ কধারায়। এই সমাসে পা বা কিংবা অন্য কোন উপসর্গ যুক্ত হয়। যথা- পা + বচনং

= পাবচনং, প + বুদ্ধো = পৰুদ্ধো, অধি + সীলং - অধিসীলং ।

সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বে বসে যে সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাস দুই প্রকার। যথা- সমাহার ও

অসমহার।

১। সমাহার দ্বিগু

এ সমাসে অনেক বস্তু বা ব্যক্তির সমাহার বা সমষ্টি বুঝায় এবং সে সমষ্টিকে একটি বস্তু হিসেবে ব্যক্ত করে।

এ সমাসে একবচন ও নপুংসক লিতা হয়। যথা-

তযোলোকা = ডিলোকং, তিনি রতনানি = তিরতনং, তিনি চীরবানি = তিচীবরং, পঞ্চসীলনি = পঞ্চসীলং ।

২। অসমাহার দ্বিগু

এ সমাসে ব্যক্তি বা বস্তুর সমাহার বুঝায় না। এ সমাস বহুবচন হয়। যথা-

পঞ্চ ইন্দ্ৰিযানি = পঞ্চিন্দিখানি, তিনি সহসানি = তিসহ সানি, তযোভবা = তিভা,অমাদাযো পরপদোহি উপপুরিসো।

যে সমাসে পূর্বপদ দ্বিতীয়া হতে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। সমাস করার পর পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় কিন্তু পূর্বপদের বিভক্তি অনুসারেই তৎপুরুষ সমাসের নাম হয় । তৎপুরুষ সমাস হয় প্রকার। যথা-দুতিয়া তপুরিসো, ততিয়া তপ্‌পুরিসো, চতুর্থী তপুরিসো, তপুরিসো পঞ্চমী, ছট্‌ঠী তপপুরিসো ও সত্তমী তপুরিসো।

উদাহরণ

দ্বিতীয় তৎপুরুষ (দুতিয়া তপুরিসো)

সরণঙ্গাতো = সরণগতো, মিচ্ছং বাদী = মিচ্ছাবাদী।

তৃতীয়া তৎপুরুষ (ততিয় তপ্‌পুরিসো) জাতিযাঅন্ধো = জচ্ছাম্বো, সীলেরন সম্পন্নো= সীলসম্পন্নো।

চতুর্থী তৎপুরুষ (চতুখী তপপুরিসো)

সব দানং সম্প্রদানং, পঞ্চমী তৎপুরুষ (পঞ্চমী তপপুরিসো)

রাজতো ভয়ং = রাজভয়ং, রুক্ষমা পতিতো= রুক্ষপতিতো।

ষষ্ঠী তৎপুরুষ ছড়ী তপুরিসো

বুদ্ধসূস সাসনং= বুদ্ধসাসনং

ফলানং রসো ফরসো

ধম্মস্স দাযাদো = ধৰ্ম্মদাবাদো

নদীয়া তাঁর = নদীতীরং

সপ্তমী তৎপুরুষ (সত্তমী তপুরিসো)

বিকালে ভোজনং= বিকালভোজনং, নরেসু উত্তমো নরোত্তম।

পরবজায়সুখং = পজাসুখং।

অনুত্ত তপুরিসো (অলুপ্ত তৎপুরুষ) কোন তৎপুরুষ সমাসে বিভক্তি লুপ্ত হয় না তাদের অলুপ্ত তৎপুরুষ (অনুত্ত

তপুরিসো) সমাস বলে। যথা- পতংকরো = পতংকরো,

অন্তেবাসিকো = অন্তেবাসিকো,

মজুনোপদং = মজুনোপদংবছরীহি সমাস (বহু মা

অঞঞপদখেসু)

 বহুব্রীহি

সে সমাসে সমস্যমান পদ সমূহের অর্থ প্রধান রূপে না বুঝিয়ে অন্য একটি পদের অর্থ প্রধান হয় তাকে বহুব্রীহি বা বহুব্রীহি সমাস বলে। বহুব্রীহি সমাস অন্যপদের বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যে পদের বিশেষণ হয় সে পদের লিঙ্গ, বচন ও বিভক্তি প্রাপ্ত হয়। উদাহরণ-

জিতানি ইন্দ্রিযানি যেন জিতেন্দ্রিযো (শ্রমণ), দসবলানি স= দসবল (বুদ্ধ), =

বিজিত মারো যেন = বিজিতমারো (ভগবান), ছিন্নহখো যস = ছিন্নহিখো (পুরুষ); সাহস বিশ্ব নাম য = সীহনাদং, মহন্তী বলং যস = মহাবরং,

দণ্ড পাণিজ্ঞি যস = দণ্ডপাণি, মহন্তী পঞঞা যস = মহাপঞো (ভগবা), কেস্সে কেসে গহেত্বা

পবস্তিতং যুদ্ধ = কেসাসোসি।

অব্যয়ীভাব

উপসগুল নিপাত্ত পুজেকো অব্যীভাব

যে সমাসের পূর্বে অব্যয় থাকে (উপসর্গ ও নিপাত) এবং অব্যয়ের অর্থ প্রধান থাকে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যথা-

নগরস সমীপং = উপনগরং, কুলস সমীপত = উপকূলং

রথস পচ্ছা = অনুরথং, ভিক্খায় অভাবো = দুবিভং,

আমিসস অভবো = নিরমিসং, পর্বতস তীরো = তীরো পতং

পচ্চেকং গেহং = পাটিগেহং, খন্দকং গেহং = উপগেহং,

মরণং পরিযন্তং = আমরণং, সমুদ্দং পরিযন্তং = আসমুন্দং ।

Content added By
সমানাধিকরণ বহুব্রীহি
ব্যতিহার বহুব্রীহি
ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

আরও দেখুন...

Promotion

Promotion